প্রকাশ্যে মাদক নেই। আছে ওপেনসিক্রেট। মাদক কাহিনী। মাদকের বিস্তার কোথায় নেই? হয়তো আছে সর্বত্রই। যেমন ভবানীপুরে,আছে কান্দানীয়ায়। কিন্তু মাদক বিক্রেতা ধরপাকড়ের কথা কেউ জানেনা। বলতেও পারেন-নি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো যা বলেন, তা ভয়ংকর বিস্ময়কর। অভিযোগ মাদক বিক্রেতা না হয়েও যেখানে নিরীহ লোকজন ধরা পড়েছে, পকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মাদক। বাড়ি ঘরে তল্লাসির নামে ভাংচুর হচ্ছে। আর পুলিশের কথিত সোর্স জাহাঙ্গীর আসামীকে কাস্টডি থেকে ছাড়ানোর নামে উৎকোচ হিসাবে পুলিশের নামে লাখ লাখ টাকা নিচ্ছে। পরিচয় দিচ্ছে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা তার আত্মীয়।

স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের শেলটারে তার মাদক ব্যবসা চলে বীরদর্পে।
জাহাঙ্গীরের মূল পেশা মাদক ব্যবসা আর নিরীহ মানুষকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে টাকা বানিজ্য করা। আর অন্য কোন পেশা তার নেই। সারাদিন বাজারে কিংবা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সে মাদক বেচাকেনা করে বলে স্থানীয়রা জানান।

সত্য হলো জাহাঙ্গীর পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্ন বিদ্ধ করে চলেছে। জাহাঙ্গীরের প্ররোচনায় ময়মনসিংহে মানবিক পুলিশ এখন প্রশ্ন বিদ্ধ। টাকা ওয়ালা, ধনবান কিংবা বিদেশ ফেরত লোক থানা পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে ছাড়ার জন্য পরিবারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এসকল কাজে ফুলবাড়িয়া থানার কতিপয় অসৎ পুলিশকে ব্যবহার করেন জাহাঙ্গীর।

মঙ্গলা ফকির (৮৫) জানান, তাকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে জাহাঙ্গীর লাখ টাকা নিয়েছে। তার নামে কোন মামলা ছিলোনা। জবান আলী সাবেক চেয়ারম্যান জানান, জাহাঙ্গীর লোক ধরায় আবার ছাড়িয়ে আনে। কেন এমন করে তা তার জানা নেই। পরে শুনে ৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনে।

ঘটনা ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১৩ নং ভবানীপুর ইউনিয়নের বাস্তব চিত্র এখন এমন। কান্দানিয়া বাজার এলাকায় সম্প্রতি একাধিক এমন ঘটনা ঘটেছে। যে ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও ওসি ডিবি’র জরুরী দৃষ্টি আকর্ষণ এর দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।

ভবানীপুরে পুলিশের কতিপয় লোকজনের বিরুদ্ধে এবং তাদের কথিত সোর্স নামীয় তদবীরবাজদের নামে চলছে নানা গুজ্ঞন, গুরুতর অভিযোগ। সরজমিন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য চাঞ্চল্যকর।
শাসক দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মী জাহাঙ্গীর এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

এলাকাবাসীর ভাষায় সে পুলিশের সোর্স নামে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আর লোক ধরিয়ে পরে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তদবিরের নামে। এলাকাবাসীর ভাষায় এলাকায় পুলিশের দালালী করছে জাহাঙ্গীরসহ আরো কতিপয় সুবিধাবাদী পুলিশ। এলাকায় প্রচার আছে ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশে টাকার গাছ এখন জাহাঙ্গীর!

কান্দানিয়া এলাকার আতংক জাহাঙ্গীরের এর বাড়ি ছনকান্দা। পুলিশের সোর্স বলে কথিত জাহাঙ্গীরের সাথে একাধিক ঘটনায়, কতিপয় পুলিশের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এর কথা জানান এলাকাবাসী।

এছাড়াও মোস্তাক, বাবুল এবং রুবেল এর বিরুদ্ধে রয়েছে একই ধরনের অভিযোগ। একজন অভিযোগকারী জানান “ হুদাই ধরে, হুদাই মামলা করে। আবার জাহাঙ্গীরের দাবীকৃত টাকা দিলেই পুলিশ ধৃত ব্যক্তিকে।

থানা পুলিশের সাথে জাহাঙ্গীরের অপকর্মের যোগসাজস রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

মহলটির দাবি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অন্ধকারে রেখে ভবানীপুরের কান্দানিয়য় পুলিশের কতিপয় সদস্য ও দালালী করে সোর্স জাহাঙ্গীর সাধারন মানুষকে মাদকের মিথ্যা মিথ্যা অভিযোগ এনে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই সাথে প্রতারনার মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে।